ইন্দুমতী সিংহ

ইন্দুমতী সিংহ
জন্ম১৮৯৮
মৃত্যু১৯৭৬
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
অপরাধের অভিযোগঅর্থ সংগ্রহ
অপরাধের শাস্তি১৫ ডিসেম্বর ১৯৩১ সাল
অপরাধীর অবস্থা৬ বছর
পিতা-মাতা
  • গোলাপ সিংহ (পিতা)
আত্মীয়অনন্ত সিংহ (ভাই)

ইন্দুমতী সিংহ (১৮৯৮—১৯৭৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।

জন্ম ও পরিবার

ইন্দুমতী সিংহ ১৮৯৮ সালে চট্টগ্রামের নন্দনকাননে জন্মগ্রহণ করেন। [] তার পিতার নাম গোপাল সিংহ। তার ভাই ছিলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম পুরোধা অনন্ত সিংহ।[]

রাজনৈতিক জীবন

ইন্দুমতী সিংহের পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। তিনি বিপ্লবী দলের কর্মী ছিলেন। বিপ্লবী দলের সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় এবং নানা মিশনে অংশ নেন। নিজেও অস্ত্রচালনা জানতেন। তিনি সমাজ সেবা ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ধৃত বিপ্লবীদের মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ইন্দুমতী সিংহ। মহিলা হয়েও এবং ইংরাজী না জানা সত্ত্বেও তিনি যে কর্মক্ষমতা দেখিয়েছিলেন তা বিস্ময়ের সঞ্চার করে। সমস্ত বাংলাদেশ, এমন কি ভারতবর্ষের অন্যান্য বহু জায়গায় পরিভ্রমণ করে তিনি অর্থ সংগ্রহ করেছেন। পুলিসের প্রধান ঘাঁটি কলিকাতায় লালবাজারে গিয়ে তাদের নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন।[]

তিনি ১৯৩১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই কাজের জন্য কুমিল্লায় যান। তখন ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার আগের দিনই শান্তি ঘােষ ও সুনীতি চৌধুরী ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্সকে ঐ কুমিল্লা শহরে গুলী করে নিহত করেন। ইন্দুমতী সিংহ ডেটিনিউ অর্থাৎ রাজবন্দী রূপে হিজলী জেলে থাকেন প্রায় ছয় বৎসর। তিনি জেলের মধ্যে লীলা নাগের কাছে পড়াশুনা করতে থাকেন এবং ম্যাট্রিক পাস করেন। ওদিকে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার রায় বের হয়। অনন্ত সিংহ, গণেশ ঘােষ, লােকনাথ বল, আনন্দ গুপ্ত প্রভৃতি বিপ্লবীদের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আদেশ হয়েছে। ফাঁসির আদেশ এঁদের প্রতি যে হয় নি তাই ছিল যথেষ্ট সেদিন।

মৃত্যু

ইন্দুমতী সিংহ ১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৭৬ সালে ৪ মে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের নারী"m.priyo.com। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২৪ 
  2. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!