ইউগো সাকো |
---|
জন্ম | (১৯২৮-০২-০৪)৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮
|
---|
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ২০১২(2012-04-24) (বয়স ৮৪)
|
---|
পেশা | পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক |
---|
ইউগো সাকো (酒向雄豪, Sakō Yūgō) (৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ – ২৪ এপ্রিল ২০১২) একজন জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি রামায়ণ: দ্য লেজেন্ট অব প্রিন্স রামের জন্য বিখ্যাত। [১]
জীবন
১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জাপানের গিফুতে জন্মগ্রহণকারী ইউগো সাকো তাঁর শৈশবকালেই তার বাবা-মা হারান । তাঁর বৌদ্ধ পুরোহিত হওয়ার প্রত্যাশা ছিল। তারপরে তিনি ভারতীয় দর্শনা ও ধারণাগুলির পাশাপাশি জেন সংস্কৃতিতে গভীরভাবে আকৃষ্ট হন। টেলিভিশন প্রোগ্রাম, ম্যাগাজিন এবং সংগীতে কাজ করে একজন ফ্রিল্যান্স স্রষ্টা হওয়ার চেয়ে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এনএইচকে, নিপ্পন হোসো কিয়োকেই (জাপানি ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) এ কাজ করেছিলেন।[২] ১৯৭০ সালে তাঁর প্রথম ভারত সফরের পরে তিনি ভারতের প্রতি আরও মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং ৪০ বারেরও বেশি ভারত যান। ভারতের উপর তিনি বহু প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।[১] তাঁর জীবনের একটি প্রধান টার্নিং পয়েন্ট ছিল যখন তিনি ১৯৮৩ সালে ডঃ বিবি লালের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। যাকে ভারতে স্লিম্যানের পুনর্জন্ম বলা হত। তিনি একজন প্রত্নতাত্ত্বিক ছিলেন। উত্তর ভারতে উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে শ্রীঙ্গাবেলাপুরে ডক্টর লালের "রামায়ণ রিলিক্স" খননকালে এককভাবে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে জাপানীদের জন্য একক টেলিভিশন ডকুমেন্টারি তৈরি করছিলেন ইউগো সাকো। ১৯৮৩ সালের ২৫ এপ্রিল সংস্করণে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলির মধ্যে একটি) সাকো রচনা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। শীঘ্রই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল হর মোহন লাল ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে একটি প্রতিবাদ চিঠি দিল্লির জাপানি দূতাবাসে পাঠান। তাতে বলা হয়েছিল যে কোনও বিদেশী নির্বিচারে রামায়ণ চলচ্চিত্রায়ন করতে পারবেন না । কারণ এটি ভারতের মহান জাতীয় ঐতিহ্য ।[৩] মিঃ লালের ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হওয়ার পরে সাকো পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য রামায়ণের একটি অ্যানিমেশন ফিল্ম বানানোরর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মিঃ লাল তার সাথে একমত হয়েছিলেন। সে অনুসারে ৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অ্যানিমেশনে রামায়ণ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। এটি ছিল এ ধরনের প্রথম প্রচেষ্টা। প্রচুর সমস্যা কাটিয়ে ওঠে রামায়ণ: দ্য লিজেন্ড অফ প্রিন্স রাম শেষ করতে এক দশক সময় লেগেছিল।[৪]
মৃত্যু
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল টোকিওর মিনাটোতে এসস্পিরেসন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইউগো সাকো ৮৪ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুর সময় তিনি লর্ড কৃষ্ণঃসেলেশিয়াল কাউয়ার্ডের গল্প নিয়ে কাজ করছিলেন।[৫]
তথ্যসূত্র