আলি মর্দান খিলজি ১২১০ সালে গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খিলজিকে পরাজিত করে বাংলার স্বাধীন সুলতান রূপে আসীন হন। তিনি দুই বছর শাসন করেন। আলি মর্দান খিলজির নিষ্ঠুরতা দরবারের সভাসদদেরকে তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। তাদের হাতে তিনি ১২১২ সালে নিহত হন।[১]
৬০২ হিজরিতে (১২০৬ খ্রি.) বখতিয়ার খলজীর মৃত্যু হয় এবং তাঁর অন্যতম প্রধান অমাত্য মোহাম্মদ শিরাণ খলজী নগৌর হতে এসে লখনৌতির শাসনভার গ্রহন করেন এবং আলী মর্দানের ইকতা বরসৌল আক্রমণ করে তাঁকে বন্দী করেন। কিন্তু কারাবাস থেকে পালিয়ে গিয়ে শিরাণ খলজী দিল্লিতে আশ্রয় নেন এবং সেখানে অবস্থান করেন। শীরাণ খলজী প্রকাশ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও অভ্যন্তরীণ শাসনের ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন। দিল্লীর সুলতানের নির্দেশে ১২০৭ খ্রিস্টাব্দে অযোদ্ধার গভর্নর কায়েমাজ রুমী বাংলা আক্রমণ করেন এবং ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে শিরাণ খলজী পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেলে হুসামউদ্দিন ইওজ খলজী দেওকোটের শাসক হন এবং তিনি দিল্লীর সুলতানের গভর্ণর হিসেবে লখনৌতির মুসলিম রাজ্য শাসন করতে থাকেন। ইতিমধ্যে আলী মর্দান সুলতান কুতুবুদ্দিনের সঙ্গে গজনী অধিকারে যুদ্ধ যাত্রার সঙ্গী হয়েছিলে এবং আলী মর্দান সেখানে আটকা পড়েছিলেন। তিনি অবশ্য গজনী থেকে দিল্লী ফিরে আসতে সক্ষম হন এবং কুতুবুদ্দিন আইবক কর্তৃক লখনৌতির গভর্নর নিযুক্ত হয়ে সৈন্য বাহিনী নিয়ে লখনৌতি উপস্থিত হলে ইওজ খলজী বিনা বাধায় তাঁকে প্রদেশের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে নিজস্ব কর্মস্থলে ফিরে যান।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র