নব্য-চীরায়ত অর্থনীতির জনক প্রিন্সিপলস্ অফ ইকোনমিক্স (১৮৯০)
আলফ্রেড মার্শাল তার উনবিংশ শতাব্দীর প্রভাবশালী অর্থনিতীবিদ। তার বই ১৮৯০ সালে প্রকাশিত প্রিন্সিপলস অফ ইকোনমিক্স (১৮৯০) বহু বছর ধরে ইংল্যান্ডের অর্থনীতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি চাহিদা ও যোগান, প্রান্তিক উপযোগ এবং উৎপাদন ব্যয় হিসাবশাস্ত্রের ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন। তাকে আধুনিক অর্থশাস্ত্রের অন্যতম জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জীবনী
মার্শাল ১৮৪২ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের ক্ল্যাম্পহামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন ক্যাশিয়ার এবং ব্যক্তিজীবনে একজন নিবেদিতপ্রাণ ধর্মপ্রচারক। বাল্যকালে তাকে ক্ল্যাম্পহামে মার্চেন্ট টেইলর স্কুলে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীকালে সেন্ট জোন্স কলেজে স্থানান্তরিত হন যেখানে তার প্রথম গণিত ও গাণিতিক বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ প্রায়। সেখানেই তিনি গণিতে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হন।[১][২] আলফ্রেড মার্শাল কিছুকাল মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন যার ফলে তিনি পদার্থবিদ্যার পাঠ ছেড়ে দিয়ে দর্শন ক্লাসে যোগ দেন। দর্শনে তার মূল আকর্ষণের বিষয়বস্তু ছিল অধিবিদ্যা। দর্শনের এই জ্ঞান তাকে অর্থনীতির সকল তত্ত্বের চিন্তার পেছনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে।
পড়াশুনা শেষ করে তিনি অর্থনৈতিক বিভিন্ন যুক্তি ও তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৬৫ সালে মার্শাল ক্যামব্রিজের সেন্ট জন’স কলেজের ‘ফেলো’ নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি প্রথমে প্রভাষক এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।
প্রিন্সিপলস্ অফ ইকোনমিক্স
আলফ্রেড মার্শাল ১৮৮১ সালে তার বই প্রিন্সিপলস্ অফ ইকোনমিক্স লেখা শুরু করেন। এর প্রথম সংস্করণ বের হয় ১৮৯০ সালে এবং প্রথম সংস্করণ থেকেই বইটি তাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদে পরিণত করে। প্রথম সংস্করণে ৭৫০ পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে অষ্টম সংস্করণে ৮৭০ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ বই আকারে ইংরেজি ভাষাভাষী দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। আলফ্রেড মার্শাল এই বইয়েই সর্বপ্রথম চাহিদা ও সরবরাহ রেখার ধারণা দেন।
রচিত গ্রন্থাবলী
১৮৭৯-দ্য ইকোনমিক্স অব ইন্ডাস্ট্রিজ
১৮৭৯-দ্য পিওর থিওরি অব ট্রেড: দ্য পিওর থিওরি অব ডোমেস্টিক ভ্যালু
১৮৯০-প্রিন্সিপলস অব ইকোনোমিক্স
১৯১৯-ইন্ডাস্ট্রি এন্ড ট্রেড
তথ্যসূত্র
↑Marshall, Alfred in Venn, J. & J. A., Alumni Cantabrigienses, Cambridge University Press, 10 vols, 1922–1958.