আলফ্রেড আর্চার
|
পূর্ণ নাম | আলফ্রেড জার্মান আর্চার |
---|
জন্ম | (১৮৭১-১২-০৬)৬ ডিসেম্বর ১৮৭১ রিচমন্ড, সারে, ইংল্যান্ড |
---|
মৃত্যু | ২৫ জুলাই ১৯৩৫(1935-07-25) (বয়স ৬৩) সীফোর্ড, সাসেক্স, ইংল্যান্ড |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১২০) | ১ এপ্রিল ১৮৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
আলফ্রেড জার্মান আর্চার (ইংরেজি: Alfred Archer; জন্ম: ৬ ডিসেম্বর, ১৮৭১ - মৃত্যু: ১৫ জুলাই, ১৯৩৫) সারের রিচমন্ড আপোন টেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন আলফ্রেড আর্চার। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৮৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত আলফ্রেড আর্চারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। উইকেট-রক্ষক হিসেবে সর্বদাই নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ করতেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হক একাদশের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। এ সফরেই তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণে ছিল। এছাড়াও ১৮৯৭ থেকে ১৯০০ ও ১৯০৩ সালে যথাক্রমে ইনকগনিটি ও আই জিঙ্গারির পক্ষে খেলেছিলেন।
হেইলিবারির বিদ্যালয় জীবনে প্রথম একাদশ দলের পক্ষে খেলতে পারেননি। এরপর, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ও মাইনর কাউন্টিতে শ্রপশায়ার দলের পক্ষে খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ১ এপ্রিল, ১৮৯৯ তারিখে কেপ টাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম খেলেন। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রতিপক্ষীয় দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার উইলিয়াম শ্যাল্ডার্স, আলবার্ট পাওয়েল, ফ্রেডরিক কাইস ও চার্লস প্রিন্সের সাথে একযোগে অভিষেক ঘটে তার।[২] খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ৭ রান তুলে বোনর মিডলটনের বলে আলবার্ট পাওয়েলের কটে বিদেয় নেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে কার্যকরী অপরাজিত ২৪ রান তুলেছিলেন। ঐ খেলায় ইংল্যান্ড ২১০ রানের ব্যবধানে জয়ী হয় ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেললেও টেস্ট ক্রিকেটে উইকেট-রক্ষণে কিংবা বল হাতে নিয়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। সামগ্রিকভাবে তার খেলোয়াড়ী জীবন মোটেই উল্লেখযোগ্য ছিল না।
১৫ জুলাই, ১৯৩৫ তারিখে ৬৩ বছর বয়সে সাসেক্সের সীফোর্ড এলাকায় আলফ্রেড আর্চারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ