আম কাঁঠলের ছুটি ২০২৩ সালের একটি বাংলা ভাষার বাংলাদেশী শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এটি প্রযোজনা ও পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা এবং সাউন্ড ডিজাইন করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।[১][২][৩] এটি শরীফ উদ্দিনের মইন্না ভাই বল্লা রাশি ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।[৪] এই চলচ্চিত্রে সত্তর, আশি ও মধ্য নব্বই দশকের শিশু কিশোরদের শৈশব কৈশোরের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।[৫]
সিনেমাটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নাম দেওয়া হয়েছে সামার হলিডে।[৬] এটি ১৮ই আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৭]
পটভূমি
কারো সাথে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে, খুঁজে পায় বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ, তারই আখ্যান এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[৮][৯]
অভিনয়
লিয়ন
জুবায়ের
আরিফ
হালিমা
তানজিল
ফাতেমা
কামরুজ্জামান কামরুল
আব্দুল হামিদ
নির্মাণ
সিনেমাকার প্রযোজিত[১০] এ চলচ্চিত্রের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছর ধরে নির্মাণের কাজ চলে। ছোট একটি কারিগরী ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ সংলগ্ন প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে চিত্রগ্রহণ করা হয়।[৮][১১]
চলচ্চিত্রটি ২৫ থেকে ৩০শে জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস শহরে অনুষ্ঠেয় ইউবিএ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়।[১৩]
২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ৩রা ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত জগজা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘আম-কাঠালের ছুট’ সিনেমার ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার হয়, এশিয়ান পার্স্পেক্টিভ বিভাগে ছবিটির আর একটি প্রদর্শনীও হয় সেখানে। উৎসব কমিটি এবং উপস্থিত দর্শকেরাও ছবিটির প্রশংসা করে।[৩]
সম্মাননা
চলচ্চিত্রটি ২০২২ সালের ২৬ মে মাসে রাশিয়ার চেবাক্সারি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভালে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পায়।[৬][৮]