আফগানিস্তান দীর্ঘদিন ধরে তার বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর জন্য পরিচিত। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন দেশের অনেক বৃহত্তর স্তন্যপায়ী প্রাণীকে বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তুষার চিতা, মার্কো পোলো ভেড়া, সাইবেরিয়ান কস্তুরী হরিণ, সাপশিঙি বনছাগল, ইউরিয়াল ও এশীয় কালো ভল্লুক। এগুলোর অন্যান্য প্রজাতিগুলো হলো আইবেক্স, ধূসর নেকড়ে, এবং বাদামি ভল্লুক, ডোরাকাটা হায়না, এবং শিকারী প্রজাতির অসংখ্য পাখি৷ বেশিরভাগ মার্কো পোলো ভেড়া এবং আইবেক্সকে খাবারের জন্য শিকার করা হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য নেকড়ে, তুষার চিতা এবং ভল্লুককে হত্যা করা হচ্ছে। [১]
২০১১ সালে বামিয়ান প্রদেশে একটি চিতাবাঘকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছিল। দেশর দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত শিকারী ও শিকারী প্রজাতি উভয়ের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে জাতীয় জনসংখ্যা হ্রাস পায় এবং তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে। [২] ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে কাবুলের বাজারে মোট ৮৫টি চিতাবাঘের চামড়া দান করতে দেখা গিয়েছে। [৩] দেশের পরিচিত ছোট বিড়াল প্রজাতির কোনোটিই সমসাময়িক নথিতে বিদ্যমান নেই, যার সবকটিই ১৯৭০-এর দশকে নির্বিচারে শিকার, শিকারের অবক্ষয় এবং বাসস্থান ধ্বংসের মাধ্যমে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল।
আফগানিস্তানে ১৯৫০ -এর দশক থেকে এশীয় চিতাবাঘ বিলুপ্ত বলে মনে করা হয়। [৪] দেশের বাজারে দুটি চিতার চামড়া দেখা গেছে, ১৯৭১ সালে একটি এবং তারপর দেখা যায় ২০০৬ সালে। পরেরটি সামাঙ্গন প্রদেশের বলে জানা গেছে। [৫]
দেশটিতে এশীয় সিংহের ঐতিহাসিক উপস্থিতি অনিশ্চিত, কারণ তা স্থানীয় ইতিহাস থেকে জানা যায় না। [৪] তবে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানে বিদ্যমান ছিল বলে মনে করা হয়। [৭] ২০১৭ সালের মার্চে সীমান্ত রক্ষীরা পাকিস্তান সীমান্তে কান্দাহারের কাছে ছয়টি শ্বেত সিংহকে বন্দী ও জব্দ করে। সিংহের উৎপত্তি প্রথমে অস্পষ্ট ছিল,[৮] তবে সীমান্ত পুলিশ কমান্ডার-জেনারেল নেয়ামতুল্লাহ হায়দারি[ক] বলেছেন যে, এগুলো আফ্রিকা থেকে এসেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে চারটি সিংহকে কাবুল চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি দুটি সিংহ এখনও কান্দাহার প্রদেশে রয়েছে। [১০]
↑Geptner, V. G., Sludskij, A. A. (১৯৯২)। "Tiger"। Mlekopitajuščie Sovetskogo Soiuza. Moskva: Vysšaia Škola। Smithsonian Institution and the National Science Foundation। পৃষ্ঠা 95–202।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link)
↑Geptner, V. G., Sludskij, A. A. (১৯৯২)। "Lion"। Mlekopitajuščie Sovetskogo Soiuza. Moskva: Vysšaia Škola। Smithsonian Institution and the National Science Foundation। পৃষ্ঠা 83–95।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link)
↑Nasr, Seyyed Hossein। "Ali"। Encyclopædia Britannica Online। Encyclopædia Britannica, Inc.। অক্টোবর ১৮, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১২।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!