আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা হল ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[২][৩] পরিচালক এস এ হক অলিক ২০০৬ সালে হৃদয়ের কথা ছবির সাফল্যের পর আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা ছবিটি নির্মাণ করেন, এবং এটি তার পরিচালনায় দ্বিতীয় ছবি। নায়ক রাজ রাজ্জাক, রিয়াজ ও পূর্ণিমা অভিনীত এই ছবিটি আশানুরূপ সাফল্য লাভ করে। জননন্দিত তরুন কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ, এস আই টুটুল ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির গাওয়া গান গুলো তরুন দর্শক শ্রোতাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।[৪] এবং এই ছবির সাফল্যের জের ধরে পরিচালক একই জুটিকে নিয়ে তার তৃতীয় ছবি এক পৃথিবী প্রেম এর নাম ঘোষণা করেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
কয়েক যুগ আগে নির্মিত একটি বিশাল বাড়ি, নাম মিয়া বাড়ি। এই বাড়ির কর্তা “মীর আমজাদ আলী” (রাজ্জাক) তার আদরের একমাত্র ছোট বোন “মিনু” (দিতি) একজন অমুসলিম অ্যালবার্ড ডেভিড কে ভালোবেসে বিয়ে করে। পরে অ্যালবার্ড ইসলামধর্ম গ্রহণ করলেও এই বাড়িতে ঠাই হয়নি তাদের। মীর সাহেবের মায়ের (শর্মিলী আহমেদ) শততম জন্মবার্ষিকী উৎসব শেষে বাড়িতে হঠাৎ এক আগুন্তকের প্রবেশ, এক হাতে একটি কেক অন্য হাতে চাকু। মীর সাহেব তার লোকদের ওকে আটকাতে বলে কিন্ত ওর আগ্রাসী আচরনে কেউ ওর সামনে ভিড়তে সাহস পায়না। ভিতরে এসে মীর সাহেবের মায়ের হাতে কেক কাটিয়ে জন্মদিনের উইস করে। কিছুক্ষণ মজা করা শেষে তার পরিচয় দেয় সে মীর সাহেবের ছোট বোন মিনুর ছেলে “আকাশ” (রিয়াজ)।
মীর সাহেব উত্তেজিত হয়ে উঠলে তার মা তাকে বুঝিয়ে বলে আকাশকে ভিতরে নিয়ে যায়। দোষ্টুমির করতে গিয়ে মীর সাহেবের মেয়ে “ছোঁয়া” (পূর্ণিমা) এক সময় আকাশের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, এতে করে ওদের সম্পর্ক ভালোবাসায় দানা বাঁধে। যেই মীর সাহেবের বাবা মীর আফছার আলী তার একমাত্র আদরের ছোটবোন মিনুকে ভালবাসার দায়ে এই মীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। এবার নিজের মেয়ের বেলায় কি করবেন তিনি?
-আকাশ-ছোঁয়ার মিষ্টি প্রেমের চাওয়া-পাওয়া, মীর বাড়ির ঐতিহ্য, সমাজ-সংসার, প্রভাব প্রতিপত্তি আর হাসি-কান্নার জীবন ছবিকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে গেছে কাহিনী।
আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের জননন্দিত তরুন কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ ও এস আই টুটুল। ছবি মুক্তির আগেই এই ছবির গানগুলোর অডিও সিডি ও ক্যাসেট অগ্নিবীনা ব্যানারে বাজারে ছাড়া হয়। এবং সবগুলো গানই শ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম হয় । ছবি মুক্তির পর একই ব্যানারে ছবির গানগুলোর ভিডিও সিডি বাজারজাত করা হয়।