অ্যালেনবি সি. চিল্টন,[১] (১৬ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ – ১৫ জুন ১৯৯৬),[২] ছিলেন একজন ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
সিহ্যাম কলারি দলের পক্ষে চিল্টন তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৩৮ সালে লিভারপুল ক্লাবে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি চার্লটন এথলেটিক দলের বিরুদ্ধে ইউনাইটেডের পক্ষে তার প্রথম ম্যাচ খেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চিল্টনের ক্যারিয়ার থেমে যায়। অবশ্য এসময় তিনি এয়ারড্রিওনিয়ান্স, কার্ডিফ সিটি, হার্ট্লপুল ইউনাইটেড, মিডলসব্রো, নিউকাসল ইউনাইটেড ও চার্লটন এথলেটিক দলে অথিতি হিসেবে খেলেন। চার্লটনকে তিনি ১৯৪৪ সালের লীগ সাউথ কাপ ফাইনাল জেতান। তিনি ডারহাম হালকা পদাতিক বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৪৪ সালে ডি ডে ল্যান্ডিংস এ ভূমিকা রাখেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্যার ম্যাট বাজবির ইউনাইটেড দলে তিনি রক্ষণাত্নক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন এবং ১৯৪৮ সালের এফএ কাপ জিততে সাহায্য করেন। এছাড়া তিনি ১৯৫২ সালের লীগ বিজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন। ১৯৫৩–৫৪ মৌসুমে তাকে ক্লাবের অধিনায়কত্ব দেয়া হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের নয়টি মৌসুমের মধ্যে তিনি মাত্র ১৩টি খেলায় অংশ নিতে পারেননি। টানা ১৭৫ খেলায় অংশ নিয়ে ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথম একাদশ থেকে বিশ্রাম নেয়ার আবেদন জানান। তার বদলী হিসেবে আসেন মার্ক জোনস যিনি ছিলেন বাজবি বেইবস এর একজন উঠতি তারকা। এর পর চিল্টন আর প্রথম একাদশে খেলতে পারেননি। ১৯৫৫ সালের মার্চ মাসে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব ছেড়ে দিয়ে খেলোয়াড়-ম্যানেজার হিসেবে গ্রিমসবি টাউন দলে যোগ দেন।
১৯৫৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চিল্টন গ্রিমসবি টাউনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি উইগান এথলেটিক ক্লাবে ম্যানেজার হন ১৯৬০–৬১ মৌসুমে। ১৯৬১–৬২ মৌসুমে স্কাউট হিসেবে চিল্টন হার্টলপুল ইউনাইটেডে যোগ দেন। পরে তিনি ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে এ দলের ম্যানেজার হন। চিল্টন ইউনাইটেড দলের পক্ষে ৪৩২ ম্যাচে অংশ নেন এবং ৩টি গোল করেন। এছাড়া তিনি ইংল্যান্ড দলের হয়ে ২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।
১৫ জুন ১৯৯৬ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
তথ্যসূত্র