ছবিটির মূল বিষয়বস্তু হল জঙ্গিবাদ। ছবিটি ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকা ও রাজশাহীতে মুক্তি পায়।[২] চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার কাজান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত হয়।[৩]
কাহিনি সংক্ষেপ
কোন এক দূর গ্রামে এক বৃদ্ধা তার একমাত্র নাতীর ফিরার অপেক্ষায় দিন গুনছে। তার নাতী রবিউল শহরে থাকে। তার ইচ্ছা সে একদিন বড় গায়ক হবে। শহর থেকে কেউ গ্রামে ফিরলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করে তার নাতীর খোঁজ জানে কিনা। তার শত অনুরোধের পর তার এক প্রতিবেশী তার নাতীর কাছে একটি চিঠি লিখে। চিঠিতে তাকে নিয়ে তার দাদীর উদ্বেগের কথা জানায়।
অপরদিকে রঞ্জু একই শহরে একটি কলেজে পড়ে। সে একটি ইসলামী জঙ্গী দলের সদস্য। তারই এক বোমা হামলায় নিহত হয় রবিউলসহ আরও অনেকে। রঞ্জুর পিতামাতা তার এই কুকীর্তির কথা জানতে পারে। অন্যদিকে দাদী একমাত্র নাতীর মৃত্যুর শোকে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যায়। সে তার নাতীর মৃত্যুর কথা ভুলে যায় এবং একের পর এক চিঠি লিখে তার নাতীর কাছে। শুরু হয় তার নাতী ফিরে আসার অন্তহীন অপেক্ষা। রঞ্জুর পিতামাতাও রঞ্জুর খোঁজ করে।
২০০৬ সালে পরিচালক আবু সাইয়ীদ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। ২০০৯ সালে চিত্রনাট্য লেখা সম্পন্ন করে। ২০১০ সালের মার্চ থেকে বগুড়ার ধুনট অঞ্চলে ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় এবং শ্যুটিং চলে টানা ২৮ দিন।[২] এর আগেও তিনি তার ৩টি চলচ্চিত্র কিত্তনখোলা, শঙ্খনাদ ও বাঁশির শ্যুটিং ধুনটে করেন। এ প্রসঙ্গে আবু সাইয়ীদ বলনে, এটা আমার নিজের এলাকা। তাই কাজ করতে খুব স্বচ্ছন্দ অনুভব করি।[১] তার আগের নির্মিত ৫টি চলচ্চিত্র ৩৫মিমি সেলুলয়েডে নির্মাণ করেন। ফলে এটি তার নির্মিত প্রথম ডিজিটাল ফরম্যাটের চলচ্চিত্র।[২]
মুক্তি
অপেক্ষা চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকার বলাকা ও রাজশাহীর উপহার সিনেমা হলে সীমিত পরিসরে মুক্তি পায়।[২]
২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর জি সিরিজের ব্যানারের অপেক্ষা ছবিটির ডিভিডি প্রকাশ করা হয়।[৫]
মূল্যায়ন
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
দ্য ডেইলি স্টারের জামিল মাহমুদ বলেন আবু সাইয়ীদ ছবিতে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন। তবে ছবির দুই প্রধান চরিত্রে রবিউল ও রঞ্জুর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেন নি। দর্শক অনেকটা সময় পর বুঝতে পারে আসলে রবিউলের মৃত্যুর জন্য রঞ্জু দায়ী।[৬]